একটি গোয়েন্দা কাহিনী লেখার কাহিনী

– আমি একটা কবিতা লিখব ভাবছি, আপনি ছাপবেন?
– ওসব কবিতা-টবিতা ছাপার জন্য প্রেস খুলিনি। একটু স্পাইসি কিছু লিখতে পারবেন?
– যেমন?
– যেমন রহস্য কাহিনী।
– পারব। কয়েকটা প্লটও আছে মাথায়।
– শুনি তাহলে একটু…
– দুটি ক্রিমিনাল সংকেতের মধ্যমে পরবর্তী ক্রাইমের প্লানিং করে। লাইব্রেরী থেকে একজন একটা বই ধার করে নানান শব্দের তলায় দাগ টানে…
– লাইব্রেরী? বই? কোন জগতে বাস করেন? এখন লাইব্রেরীও নেই, কেউ কাগজের বইও পড়েনা। তা ছাড়া এত কসরত করার দরকার কী? ক্রিমিনাল তো টেক্সট মেসেজ করে দিতে পারে।
– তাহলে ধরুন গোয়েন্দা ক্রিমিনালের নাম জেনেছে, কিন্তু তার বিষয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না…
– আপনার মাথা! গুগল সার্চ করেও কিছু নেই? ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট নেই? এমন কাল্পনিক চরিত্র বিশ্বাসযোগ্য নয়। তা ছাড়া বড় রকমের ক্রাইম হলে সিসিটিভি ফুটেজ থাকবে, গুগল ম্যাপস-এ পালানোর পথ দেখা যাবে।
– তাহলে ক্রিমিনাল খুন করেছে কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেল না।
– ডিএনএ-তে ধরা পড়বে।
– মুখোশ পরে…
– রেটিনাল স্ক্যান করলে ধরা যাবে
– বিষ খাইয়ে মারলে
– ফরেনসিক রিপোর্ট থাকবে না?  প্লুটোনিয়াম বা অন্য একটা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ট্রাই করতে পারেন। এখন খুব হট। তবে রসায়নটা একটু ঝালিয়ে নেবেন।
– আবার পড়াশোনা কেন, স্যার? আপনি একটা কিছু সাজেষ্ট করুন।
– সিরিয়াল কিলার হলে ভাল হয়, আজকাল লোকে খুব খাচ্ছে।
– কিন্তু স্যার, বাঙালি অত মাথা ঠান্ডা করে বারবার খুন করতে পারে? আমরা আবেগপ্রবণ, বড় জোর উত্তেজিত হয়ে দাঙ্গায় কারুর পেটে চুরি বসিয়ে দিতে পারি।
– পারে, বাঙালি সব পারে। একটু সাইকো টাইপ–এর দেখুন না চেষ্টা করে…
– আর মোতিভ? সেটা থাকবে না?
– সে তো আপনার কাজ, ভেবে নেবেন কিছু একটা। নারীর উপর রাগ, বসের উপর রাগ, কবিদের উপর রাগ, বেড়ালের উপর রাগ। রাগ তো কারুর কম নয়। তবে হ্যাঁ একটা নতুনত্ব থাকা চাই।
– ধরুন যদি সিরিয়াল কিলার রোজ লোডশেডিং-এ অন্ধকারের ফায়দা তুলে খুন করে?
– লোডশেডিং? একটু ব্যাকডেটেড নয় কী?
– কেন? লোডশেডিং ও কী লুপ্ত?
– না। লুপ্ত নয়। ঘড়ি কারুর থাকলে তার কাঁটা ঠিক করতে পারতো বর্ষকালের লোডশেডিং-এর সময় থেকে। আপনি এগিয়ে যান, বিশেষ সংখ্যায় আপনার স্পেস রাখছি।

The one with kumro

– I can’t call this weekend. We’re going to a pumpkin festival.
– Pumpkin? What is that?
– It is what we call kumro in Bangla
– And they will cook kumro?
– No, they will just carve faces.
– Carve faces? Why will they do that?
– To make scary faces, put candles inside, and place in windows.
– And the kumro?
– Usually they just throw them away.
– I see. Do they at least dry and eat the seeds?
– No.
– I see. And this so-called pumpkin festival, this is big in America, yes?
– Yes. Sometimes, they make pies with kumro, that are like pithes. They also sometimes flavor tea with spices and kumro. It really is big over here, especially among the ladies.
– What, kumro tea?
– Yes, very milky kumro tea is popular this time of the year.